পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সমুদ্র বিজ্ঞান-জাকির নায়েক

ছবি
 সেখানে উভয়ের মাঝে একটি আড়াল বা অন্তরায় থাকে।ঐ অন্তরায় দু’সাগরকে বিভক্ত করে রাখে।ফলে দেখা যায়,প্রত্যেক সাগরের রয়েছে নিজস্ব তাপমাত্রা,লবণাক্ততা এবং ঘনত্ব।(1.principles of oceanography, Davis,pp 92-93)সাগর বিশারদদের পক্ষে এ আয়াতের ব্যাখ্যা দানের উত্তম সুযোগ রয়েছে।সাগরের মাঝে প্রবাহমান ঢালু পানির অদৃশ্য আড়াল আছে যার দিয়ে এক সাগরের পানি অন্য সাগরে যায়। কিন্তু যখন এক সাগরের পানি অন্য সাগরে প্রবেশ করে তখন সে পানি তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলে এবং অন্য সাগরের পানির বৈশিষ্ট্যের সাথে একাকার হয়ে যায়।দু’পানির ধারার মধ্যে ঐ অন্তরায় একটি অন্তবর্তীকালীন একাকারকারী জোন হিসেবে কাজ করে। কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতেও এই বিষয়ের উল্লেখ এসেছে।আল্লাহ বলেনঃ “তিনি সে সত্তা যিনি দু’সাগরের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন।” সূরা নমল -৬১ এ অবস্থা বা অন্তরাল বিভিন্ন সাগরে দেখা যায়।জিব্রাল্টারে ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মিলন স্থলে,কেপ পয়েন্ট,কেপ পেলিনসুলা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার যেখানে আটলান্টিক মহাসাগর ভারত মহাসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে সেখানে। কিন্তু কোরআন যেখানে মিষ্টি পানি ও লবণাক্ত পানির কথা বলে,তখন তা ঐ অন্তরালে...

সাহাবীদের জীবনী

ছবি
‘সাহাবী’ শব্দটি আরবী ভাষায় ‘সুহবত’ শব্দের একটি রূপ। একবচনে ‘সাহেব’ ও ‘সাহবী’ এবং বহুবচনে ‘সাহাবা’ ব্যবহৃত হয়। অভিধানিক অর্থ সংগী, সাথী, সহচর, এক সাথে জীবন যাপনকারী অথবা সহচর্যে অবস্থানকারী। আর ইসলামী পরিভাষায় ‘সাহাবা’ শব্দটি দ্বারা রাসূলুল্লাহর (সা) মহান সংগী-সাথীদের বুঝায়। ‘সাহেব’ শব্দটির বহুবচনের আরো কয়েকটি রূপ আছে। তবে রাসূলুল্লাহর (সা) সংগী-সাথীদের বুঝানোর জন্য ‘সাহেব’-এর বহুবচনে ‘সাহাবা’ ছাড়া ‘আসহাব’ ও সাহব’ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আল্লামা ইবন হাজার (রা) তাঁর ‘আল-ইসাবা ফী তাময়ীযিস সাহাবা’ গন্থে সাহাবীর সংজ্ঞা দিতে দিয়ে বলেন , -সাহাবী সেই ব্যক্তি,  যিনি রাসূলুল্লাহর (সা) প্রতি ঈমান সহকারে তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং ইসলামের উপরই মৃত্যবরণ করেছেন।  এতে তিনটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে (১) রাসূলুল্লাহর (সা) প্রতি ঈমান (২) ঈমানের অবস্থায় তাঁর সাথে সাক্ষাৎ (আল-লিকা) (৩) ইসলামের ওপর মৃত্যুবরণ (মাউত ‘আলাল ইসলাম)। এতএব উপরোক্ত সংজ্ঞার শর্তমতে এমন লোক সাহাবী বলে গণ্য হবে না যারা রাসূলুল্লাহ (সা) সাক্ষৎ তো লাভ করেছেন কিন্তু ঈমান আনেনি। যেমন: আবু জাহল, আবু লাহাব প্রমুখ মক্কার কাফিরবৃন্দ। দ্বিতীয়...

বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরাইরাহ (রা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

ছবি
ইসলাম ডেস্ক: হযরত আবু হুরাইরাহ (রা.) ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একজন সাহাবা ও সেবক। তাঁর প্রকৃত নাম আব্দুর-রহমান ইবনে সা’খর অথবা উমায়র ইবনে আমির। তিনি তিন বছর নবী মুহাম্মদ(সা:) এর সান্নিধ্যে ছিলেন এবং বহুসংখ্যক হাদীস আত্মস্থ করেন এবং বর্ননা করেন| হিসাব অনুযায়ী, ৫,৩৭৫ টি হাদীস তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। বলা হত যে, উর্বর মস্তিষ্ক ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি| তাঁর কাছ থেকে আটশত তাবেঈ হাদীস শিক্ষা লাভ করেছিলেন| সংক্ষিপ্ত ইছলামী বিশ্বকোষের আলোকে: “তিনি দক্ষিণ আরবের আজদ্ গোত্রের সুলায়ম ইবনে ফাহম্ বংশোদ্ভূত। ‘আবু হুরায়রা’ উপনামে তিনি সমাধিক পরিচিত। তাঁর প্রকৃত নাম সম্বন্ধে পরস্পরবিরোধী বর্ণনা দৃষ্ট হয়। অধিকতর বিশ্বস্ত বিবরণ মতে তাঁর নাম আব্দুর-রহমান ইব্ন সা’খর অথবা উমায়র ইব্নে আমির। বিড়ালের প্রতি স্নেহাধিক্যের জন্য তিনি আবু হুরায়রা (অর্থাৎ ছোট বিড়ালের পিতা) নামে অভিহিত হন। এই উপনামের জনপ্রিয়তা তাঁর আসল নামটিকে আড়াল করে দাঁড়ায়। আবু হুরায়রা (রা) হুদায়বিয়ার সন্ধি এবং খায়বর [৭/৬২৯] যুদ্ধের অন্তর্র্বতী সময়ে মদিনায় আগমন করে ইছলাম গ্রহণ করেন। ত...